৭৩ ফেরকার নাম

,হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) তাঁর
“৭৩ ফিরকার বিবরণ” গ্রন্থে সমগ্র
মুসলিমগণকে প্রথমতঃ ১০ ভাগে বিভক্ত
করেছেন, যথা- (১) আহলে সুন্নাত, (২)
খারিজী, (৩) শিয়াহ, (৪) মুতাজিলা, (৫)
মুরজিয়া, (৬) মুশাব্বিয়া, (৭) জাহমিয়া, (৮)
জরারিয়াহ, (৯) নাজ্জারিয়া এবং (১০)
কালাবিয়াহ। উপরোক্ত দলগুলির
মধ্যে মুক্তি পাওয়ার যোগ্য দল হল
আহলে সুন্নাত কারণ একমাত্র এরাই কোরআন
ও সুন্নাহ অবলম্বন ও অনুসরণ করে থাকেন
এবং প্রমাণস্থলে উভয়কেই অগ্রাধিকার
দিয়ে থাকেন।অন্য ৯টি দল
হতে বাহাত্তরটি উপদল বা ফিরকার
সৃষ্টি হয়েছে। এ দলগুলো সাহাবাদের বহু
জামানার পর সৃষ্টি হলেও কোন কোন
সাহাবাদের জীবদ্দশায় দু একটি বিদ’আতের
সূত্রপাত হয়েছিল। সাহাবাগণও সূত্রপাতের
সঙ্গে সঙ্গেই ঘোর প্রতিবাদ করেছেন।
একদিন আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) শুনলেন
যে কিছু লোক মসজিদে সমবেত
হয়ে হালকাবদ্ধভাবে বসে (অর্থাৎ কয়েকজন
গোল হয়ে বসে) লাইলাহা ইল্লাল্লাহু,
সুবহানাল্লাহ ও দরূদ প্রভৃতি পাঠ করছে। এই
খবর পাওয়া মাত্র
তিনি মসজিদে এসে সমবেত লোকদের
বললেন, “হে লোক সকল, রাসূল (স.)-এর
ইন্তেকালের পর এখনও খুব বেশী দিন অতীত
হয়নি, তাঁর পরিধেয় বস্ত্র এখনও বিদ্যমান
রয়েছে, আর তোমরা এখনই তাঁর
শরীয়তকে পরিবর্তন করতে আরম্ভ
করে দিয়েছ? দেখ, আমি রাসূলের (স.)
যামানায় এভাবে কলেমা ও দরূদ পাঠ
করতে দেখিনি।” এভাবেসতর্কবাণীক
রতেকরতেতিনিতাদের মসজিদ
হতে তাড়িয়ে দিলেন। হযরত আবদুল কাদের
জিলানী তাঁর উপরোল্লিখিত গ্রন্থে উক্ত
নয়টি দল যে বাহাত্তর দলে বিভক্ত
হয়েছে সেগুলির নাম উল্লেখ করেছেন
নিম্নোক্তভাবেঃ ১ম দল – খারেজী –
এরা ১৫টি দলে বিভক্ত ২য় দল – শিয়া – ৩
দলে বিভক্ত, এই ৩টি দল আবার যথাক্রমে (i)
১২, (ii) ৬ ও (iii) ১৪টি উপদলে বিভক্ত ৩য় দল –
মুতাজিলা – ৬টি দলে বিভক্ত ৪র্থ দল –
মুর্জীয়া – ১২টি দলে বিভক্ত ৫ম দল –
মুশাব্বিয়া – এরা ৩টি দলে বিভক্ত অবশিষ্ট
৪টি দল হল জহমিয়া বা জব্রিয়াহ,
জরারিয়াহ, নজ্জারিয়াহ বা ছেফাতিয়াহ
এবং কালাবিয়াহ। মোট ৭২ উপদল
বা ফিরকা উপরোক্ত দল/উপদলগুলি বহু
যামানা পরে সৃষ্টি হলেও কোন কোন
সাহাবার জীবদ্দশায়ই দু একটি বিদ’আতের
সূত্রপাত হয়েছিল। কিন্তু সাহাবাগণ
সূত্রপাতের সঙ্গে সঙ্গেই এর ঘোরতর
প্রতিবাদ করেছেন।
( তরীকায়ে মোহাম্মদীয়া , ১ম খন্ড;
মোহাম্মদ মতিউর রহমান
মোহাম্মদী সালাফী) হাদিসের
দিকে লক্ষ্য করুন,আমার উম্মতের
মধ্যে একটি দল সর্বদা হক্বের উপর
প্রতিষ্ঠিত থাকবে, বিরোধীরা তাদের
কোনো ক্ষতি করতে পারবে না, এই অবস্থায়
ক্বিয়ামত এসে যাবে, তারা ঐ অবস্থায়ই
থাকবে। (বুখারী, মুসলিম),

Author: abdurrakib7377

www.abdurrakib77.wordpress.com

Leave a comment